দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মার নাব্যতা সংকটে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অন্য সময় প্রতিটি ফেরিঘাটে চলাচলে আধাঘণ্টা সময় লাগলেও বর্তমানে নাব্যতা ও ডুবোচরের কারণে ফেরিগুলো ঘাটে ঘুরে আসতে সময় লাগছে এক ঘণ্টারও বেশি।
রোববার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদীতে প্রতিদিনই পানি কমতে থাকায় ফেরি চলাচলে পলি পরে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে পলি অপসারণে নদীতে তিনটি ড্রেজার মেশিন কাজ করলেও সাময়িক সময়ের জন্য ভোগান্তিতে পড়েছেন এ নৌরুটে চলাচলকারী নৌযান চালকসহ নদী পারাপার হওয়া যানবাহনের চালক ও সহকারীরা।
ট্রাকচালক লোকমান হোসেন বলেন, নদীতে পানি কমেছে। এ ছাড়া ফেরির সংখ্যা কম থাকায় এ রুটে চলাচলকারী চালক ও সহকারীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি অতি বিলম্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
বাসযাত্রী ও ব্যবসায়ী রিমন রহমান জানান, নাব্য সংকটে নৌপথের দূরত্ব বেড়েছে। সঙ্গে খরচ ও সময় বেশি লাগছে। যে কারণে আমাদের ব্যবসা করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। নাব্য সংকট দূর করতে নদীপথে তাড়াতাড়ি ড্রেজিং করে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে নৌপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, শীত মৌসুমে পানি কমে গেলে নদীতে পলি জমায় নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়। নদীর বুকে ছোট ছোট চর জাগায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।